শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সদর উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন চৌফলদন্ডীতে চুরির অপবাদে ঘর থেকে তুলে নিয়ে উপর্যুপরী নির্যাতন ও মারধরের শিকার হয়েছে এক অসহায় ব্যক্তি। অর্থের অভাবে বিনা চিকিৎসায় একমাস ৫দিন পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে চিহ্নিত প্রভাবশালী মহল। ন্যায় বিচারের আশায় বিভিন্ন স্থানে ঘুরলেও টাকার অভাবে মামলা করতে পারছে না অসহায় ভিকটিমের পরিবার। অভিযোগে জানা যায়, বিগত ২৪ আগষ্ট রাতে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়ার সাবেক মেম্বার কবির আহমদের পুত্র লালুর একটি মোটর সাইকেল চুরি হয়। উক্ত চুরির ঘটনায় সন্দেহবশত একই এলাকার খুলু বহদ্দারের পুত্র ৩ সন্তানের জনক সাইফুল ইসলামকে তার বশত বাড়ী থেকে ধরে নিয়ে লালুর ভাই মিন্টু, একরামসহ আরো কয়েক ব্যক্তি তাকে উপর্যুপরী মারধর ও নির্যাতন করে। খবর পেয়ে সাইফুলের স্ত্রী ও তার স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে আসে। পরদিন সাইফুলের স্ত্রী বাদী হয়ে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ কক্সবাজার মডেল থানায় দায়ের করে। এতে বিবাদী করা হয়েছে লালু, মিন্টু ও একেরামকে। অভিযোগের বিষয়টি জানতে পেরে এ প্রভাবশালী মহলটি সাইফুলের বসতবাড়ীতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সদর মডেল থানার এসআই নাজির হোসেন অভিযুক্তদের কাছে কয়েকবার নোটিশ প্রেরণ করলেও বিচারে উপস্থিত হয়নি। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে নিহত সাইফুলকে এলাকা ছাড়া করে। ২৯ সেপ্টেম্বর বাসায় আসলে পূনরায় অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সে চিকিৎসার অভাব ও ¯œায়ু চাপে ভুগলে রাত ১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তার মৃত্যুর খবরটি এলাকায় জানাজানি হলে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। নিহত সাইফুলের স্ত্রী জানান পুনরায় অভিযোগ কিংবা মামলা না করতে চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি তার স্বামীর নির্যাতন ও মারধরের বিচার দাবী করেন। অপরদিকে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত লালু জানান, সাইফুলকে কোন ধরণের মারধর করা হয়নি এবং তাদের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এলাকার অনেকেই জানান, তাদের নির্যাতনের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে সে মারা গেছে। সদর মডেল থানার এসআই নাজির হোছনের সাথে অভিযোগের বিষয় নিয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।